নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সাধারণ মানুষের জীবনের সাথে জীবিকার কথা চিন্তা করে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সারা দেশের শপিংমল, মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। সরকারের বেধে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত রবিবার থেকে সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁয়ের বিপনী বিতান ও মার্টেকগুলো খোলার কথা থাকলেও করোনা মোকাবেলায় যথাযর্থ ব্যবস্থা না থাকায় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার মার্কেটগুলোতে দেখা যাচ্ছেনা ক্রেতাদের উপস্থিতি। করোনা ভয়ে সচেতন ব্যক্তিরা মার্কেটগুলোতে আসতে চাইছেনা বলে জানিয়েছেন দোকানদাররা।
সরেজমিনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সকাল ১০টায় দোকান খোলার কথা থাকলেও দোকানদাররা নিদিষ্ট সময়ের আগেই তারা সকাল বেলা দোকান খুলে বসে আছে। দোকানদারদের মুখে মাস্ক থাকলেও তা করোনা মোকাবেলায় যতেষ্ট না। অনেকে আবার মাস্ক পড়েছেন ঠিকই কিন্তু গরমের অজুহাতে কেউ পকেটে আবার কেউ মুখের নিচে নামিয়ে রেখেছেন। সামাজিক দুরত্বের বেলায় নেই কোন নিয়মনীতি। এসব কিছুর পর দোকান খুলে বসে থাকলেও দোকানদাররা পাচ্ছেনা কাঙ্খিত ক্রেতা। করোনা ভাইরাসের ভয়ে অনেকে ঘরে বাহিরে বের হচ্ছেনা। অপরদিকে মার্কেটে অতিরিক্ত লোকের চাপে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এছাড়া মার্কেটগুলোতে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি না থাকার কারণে মার্কেটে আসার উৎসাহ হারাচ্ছে সচেতন ক্রেতারা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ভয় ও অন্যান্য বিষয়াদি মাথায় রেখে এখনও ঈদের কেনাকাটার জন্য মার্কেটে আসছেনা সাধারণ মানুষ। ফলে ক্রেতা বিহীন মার্কেট খুলে বসে দিনপার করছেন দোকানদাররা। তবে কিছু মার্কেটে মধ্যবিত্ত পরিবারের কিছু ক্রেতা দেখা গেলেও বাকি মার্কেটগুলো ছিল ক্রেতা শুন্য। এমন অবস্থায় বিদ্যুৎ বিল ও কর্মচারীর বেতনসহ অনুসাঙ্গিক খরচ তুলতে হিমশিম খাতে হবে দোকানদারদের।